Tuesday, March 31, 2015

এন্ড্রয়েড দিয়ে করুন ওয়েবসাইট ডিজাইন!

 মোবাইল দ্বারাই এখন ডিজাইন করতে পারবেন আপনার মনমত ওয়েবসাইট। তাও এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে! যাদের কাছে এন্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে, তারা অন্য কোন ডিভাইস এর সাহায্য ছাড়াই উন্নত মানের রুচিশীল ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে পারবেন Android Web Editor অ্যাপ টি দিয়ে।
1
2
3
কি আছে এই অ্যাপ এ?
এ অ্যাপ দ্বারা আপনি যা যা করতে পারবেন –
– Code highlighting;
– Work with your FTP server;
– Work with files in your smartphone;
– Line numbering;
– Hot tags-button;
– Quick preview of your page;
– Highlighting the current line;
– layer of Custom buttons( you can create you own hot-keys)
– Search by code. NEW
– Changes set of hot keys through the siding on the main screen.NEW
– Running your code on our server; (You can debug your php code!) // Sorry, but only in PRO version
– Encoding choice.NEW // Only in PRO.
– AUTO Encoding choice. NEW // Only in PRO.
– Undo/redo. NEW // Only in PRO.
এর দুটো ভার্সন রয়েছে। 1. Android Web Editor Lite
2. Android Web Editor Pro
Android Web Editor Lite অ্যাপ টি সবার জন্য বিনামুল্যে। কিন্তু Android Web Editor Pro অ্যাপ টির মুল্য $2,99 প্লে ষ্টোরে।
নিচে এর pro ভার্সন এর লিঙ্ক দেয়া হল।

Thursday, March 26, 2015

৩০ দিনের ট্রায়াল মুছে ফেলে একটিভ করুন আপনার windows 7 ultimate কে

সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা।আশা করছি ভালো আছেন।একটি মিনি টিউন নিয়ে এলাম।আপনারা অনেকেই হয়তো windows 7 ultimate ব্যবহার করেন কিন্তু সিরিয়াল কী'র অভাবে ফুল ভার্সন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।তাদের সমস্যা সমাধান করতে নিয়ে এলাম windows 7 loader সফটওয়্যারটি।windows 7 ultimate ইন্সটল করুন।সিরিয়াল নাম্বার চাইলে ট্রায়াল ভার্সন হিসেবে next ক্লিক করে ইন্সটল সম্পূর্ন করুন।এবার এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে রান করুন এবং কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন।এরপর আর আপনার কাছে কোন সিরিয়াল নাম্বার চাইবে না।সফটওয়্যারটির সঙ্গে ভিস্তা এবং সেভেন এর অন্যান্য ভার্সনেরও সিরিয়াল কী' দেয়া আছে।যার যার ভার্সন অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কাজ করে কি না।
মাত্র ২.৩৪ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি মিডিয়া ফায়ার থেকে ডাউনলোড করতে নীচে ক্লিক করুন।

সতর্কবাণীঃঃঃঃঃসফটওয়্যারটি আমার এক ইতালিয়ান frnd কাছ থেকে নেয়া।সে নিজে এটি ব্যবহার করছে এবং আরও ২ জনকে দিয়েছে যারা ব্যবহার করছে।১০০% কাজ করে।কিন্তু আমি নিজে আমার কম্পিউটারে এটি পরীক্ষা করতে পারিনি কারন আমারটা বৈধ উইন্ডোজ সেভেন হোম প্রেমিয়াম।এটি উইন্ডোজ সেভেনের অন্য কোন ভার্সনে কাজ করে কি না বলতে পারছি না।পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।সবশেষে বলতে চাই এই সফটওয়্যারটি কোন কারনবশত কাজ না করলে তার দায়দায়িত্ব আমি নেবো না।কারন এটি আমার নিজের হাতে পরীক্ষিত নয়।ধন্যবাদ সবাইকে।আল্লাহ হাফেজ।।।

জেনে নেন Domain Name কি, এবং Domain Name কেমন হওয়া উচিত।

আপনার ওয়েবসাইটকে Ranking এ ভাল অবস্থানে আনার জন্য Domain Name খুবই গুরুত্ব। একটি Domain Name এর মাধ্যমে একটি Company এর পক্ষে ব্রান্ডি হওয়া সম্ভব । Domain Name ছোট হওয়াটা ভাল যেন মানুষ সহজে মনে রাখতে পারে। যদি সম্ভব হয় সাইটের সার্ভিস অথবা বিজনেসের সাথে মিল রেখে Domain Name সিলেক্ট ক্রলে ভাল হয়। আপনি আপনার ডোমেইন নেইম এ Keyword রাখতে পারেন। যেমন আপনি একটি ওয়েবসাইট বানাবেন যেখানে নকিয়ার সকল প্রকার সফটওয়্যার পাওয়া যাবে। তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের নাম দিলেন http://www.techtunes.com.bd অর্থাৎ আপনি আপনার সাইটের নাম দিলেন techtunes যেখানে ইউজাররা Nokia এর সকল মোবাইলের সফটওয়্যার পাবে। এখানে techtunes হচ্ছে Domain Name ।
কিন্তু একটু চিন্তা করে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের নাম http://www.nokiasoftware.com তাহলে এটি আরও ইফেক্টিভ ।

তাহলে এখানে Domain Name হল Nokia software যেখানে ইউজাররা সার্চ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি হল Nokia Software দিয়ে। এখানে সাইটের দুটি Keyword নকিয়া এবং সফটওয়্যার হতে পারে সুতারাং এভাবে অনেক ভাল অপটিমাইজেশন ক্রা সম্ভব । Domain Name এমন হওয়া উচিত মানুষ যাতে খুব সহজে মনে রাখতে পারে। Domain Name এ Primary Name এ Primary Keyword রাখা যেতে পারে। Keyword Name মানুষের মনে রাখতে সুবিধার্থে বড় রাখা যেতে পারে। আপনি যে Domain Name সিলেক্ট করবেন সেখানে আপনার সাইটের একটি বা দুটি Keyword থাকতে পারে। আপনি যখন একটি Domain Name ভাবছেন বা চিন্তা ক্রছেন তার আগে দেখে নিতে হবে এই নামটি খালি আছে কিনা। এজন্য বিভন্ন ধ্রনের ওয়েবসাইট আছে যেখানে আমরা চেক করে দখতে পারি ঐ নামের Domain আছে কি না।
অহ আর একটি কথা বলতে ভুলে গেছিলাম Domain Name হচ্ছে একটি Website এর নাম। ওয়েবসাইটের নামকেই Domain Name বলা হয়।
আপনাদের সুবিধার্থে , Domain নেওয়ার আগে Domain আছে কি না তা চেক করার জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা নিচে দিয়ে দিলাম।http://www.checkdomain.com http://www.instantdomainsearch.com http://www.whois.net

ওয়াপমাস্টার এবং জারা SEO করেন তাদের জন্য জটিল একটা টুলবক্স । একি সাথে পাবেন আপনার সাইট এর কাজ করার জন্য Security, Developing এবং Optimization / seo এর কাজের জন্য প্রচুর Tools , সাথে রয়েছে (htaccess ,robots.txt ,sitemap) genarator ,site speed test , live html editor সহ অনেক কিছু । আপনার কাজের গতি হবে দ্রুতময় ।

। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জটিল একটা জিনিস । জারা ওয়েবসাইট এর কাজকরেন অথাবা SEO করে তাদের জন্য আজকের টিউন টি ১০০% কাজের । কারন আজকে আপনাদের জন্য এমন সাইট নিয়ে এসেছি জেইখানে আপনারা পাবেন একসাথে
অনেক কিছু । আপনারা জা জা পাবেন টার একটা লিস্ট নিচে দেওয়া হলো এবং লিস্ট এর পড়ে প্রত্যেক টুল এর বিবরণ এইটা দিয়ে কি করতে পারবেন তা দেওয়া হবে -

Server & Robots Tools:

- Htaccess Generator: এইখান থেকে সহজে আপনার সাইট এর জন্য htaccess জেনারেট করতে পারবেন ইচ্ছা মত বিভিন্ন অপশন সেট করে । এর
জন্য আপনাদের htaccess বানানোর জন্য কোড করতে হবে না ।
- Robots.Txt Generator : এই টুল থেকে আপনারা Robots.txt ফাইল জেনারেট করতে পারবেন ।
এইটি সাহায্যে আপনি কোন কোন সার্চ ইঞ্জিন এর বট আপনার সাইট এ এলাউ করতে চান তা জেনারেট করতে পারবেন সহজেই ।
- SiteMap Generator: এইখান থেকে আপনার সাইট এর সাইটমেপ জেনারেট করতে পারবেন না একটা পরিপুরন সাইট করার জন্য দরকারি ।
- Speed Test : এই টুল দিইয়ে কোন সাইট কত স্পিড এ লোড নেয় তা দেখতে পারবেন ।

Optimization Tools / SEO Tools

এই কেটাগরি তে এই টুলস গুলা রয়েছে -
Meta Tags Generator ,
Keyword Cleaner,
Keyword Generator ,
PageRank Lookup ,
Indexed Pages Lookup .
Character Length Checker
আসা করি জারা Seo এর কাজ করেন বা নিজের সাইট এর জন্য SEO করতে চান বা করেন তারা এইগুলা সম্পর্কে জানেন এবং এইগুলুর গুরুত্ত বুঝেন । এই জিনিস গুলু
আপনারা অতি সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন সাইট টির মাধ্যমে ।

Security Tools

- Password Generator: এর সাহায্যে আপনারা অনেক শক্তিশালি পাসওয়ার্ড বানাতে পারবেন । ( এইটা রেন্ডম পাসওয়ার্ড জেনারেট করে এবং
পাসওয়ার্ড স্টোর করে না তাই নিশ্চিন্তে ইউজ করতে পারেন । )
- Hash Generator: এর সাহায্যে কোন টেক্সট কে MD5 ,Sha-1 এর Hash এ জেনারেট করতে পারবেন ।

Lookups

Whois Lookup:এর সাহায্যে কোন ডোমেইন কথা থেকে রেজিস্টার হয়েছে ,কোন DSN ঈউজ করছে ,ডোমেইন এর মালিকের নাম কি , কবে কিনা
হয়েছে ,কবে এক্সপায়ার হবে এইগুলা সহ প্রচুর তথ্য জানতে পারবেন ।
Http Header Lookup: এর মাধ্যমে কোন সাইট এর Http Header দেখতে পারবেন ।

Developing Tools

Live Http Editor: পিসি ইউজার রা জারা কোডিং করেন তারা হয়ত অনেকেই নোটপ্যাড এ ছোট খাট এইচটিএমএল কোড লিকে সেভ করে ওপেন করে
দেখেন কেমন হইছে কিন্তু এইটার মাধ্যমে আপনারা কোণ কোড লিখার সাথে সাথেই টার প্রিভিউ দেখতে পারবেন । এর জন্য আপনার ডাটা খরচ হবে না । অফলাইনে কাজ
করার জন্য আপনারা টুলটি তে ঢুকে পেজ টা সেভ করে নিতে পারেন , (firefox user রা CTRL S প্রেস করে সেভ করতে পারেন পেজ টি , ক্রোম এর টা জানা নাই ) ।
এছারাও রয়েছে Graph and Charts এবং Script Resources টুল সময়ের কারনে এইগুলার বিবরণ দিতে পারলাম না ।আপনারা ইউজ করলেই বুজতে পারবেন ।
আরো রয়েছে আপনার ভিজিটরদের Paypal দিয়ে পেমেন্ট করানোর জন্য Paypal Button ক্রিয়েটর । টুল টা দেখেলেই কিভাবে কি হয় বুজতে পারবেন ।
বর্ণনার মদ্ধে জে টুল টি এর পেজ টিটে আপনি যেতে চান tools এর লিস্টে ওঁই টুল এর নামে ক্লিক করলে ওঁই টুল এর পেজ এ প্রবেস করবেন ।
এছারা সকল ক্যাটাগরির নাম , লিংক এবং কোন ক্যাটাগরি তে কোন টুলস রয়েছে এবং তাদের নাম , লিংক অথাবা সকল টুলস এর নাম লিংক একসাথে লিস্ট দেখতে
চাইলে এইখানে ক্লিক করুন  ।

স্টিফেন হকিং এর “A Brief History of Time” – কি আছে এতে?

মহাকাশ বিজ্ঞান এবং মহাবিশ্ব বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ “A Brief History of Time” বা “কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস”। যেটি লিখেছেন আধুনিক পদার্থবিদ্যা এবং সৃষ্টিতত্ত্ব (Physics & Cosmology) সম্পর্কিত বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী Stephen W. Hawking
এই বইটি সৃষ্টিতত্ত্ব ও মহাকাশ বিজ্ঞানের অন্যতম একটি বিশাল জ্ঞানের উৎস। বিজ্ঞানের প্রতি আসক্তি থেকে বইটি পড়ার এবং কিছু জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছি। যতটুকু বুঝতে পেরেছি তা সংক্ষেপে সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি।
আমার এই লেখার সকল বিষয়ের রেফারেন্স এই বইটিই।
বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন এখান থেকে।
“A Brief History of Time” - Stephen W. Hawking (1.44 MB)
“কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” – বঙ্গানুবাদঃ শত্রুজিৎ দাসগুপ্ত (5.89 MB)

বিভিন্ন অধ্যায়ে এই বইটিতে যা যা বলা হয়েছে তা তুলে ধরছি

  • মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের চিত্র (Our Picture of the Universe)
    এই মহাবিশ্ব মুলত দেখতে কেমন। বিজ্ঞানের শুরুর সময় থেকে বিভিন্ন দার্শনিক ও বিজ্ঞানীগন এই মহাবিশ্ব কে কিভাবে দেখেছেন। কি ধারনা করেছেন, কি তত্ত দিয়েছেন, কোনটি সঠিক ছিল আর কোনটি ছিল ভুল। এরপর সময়ের সাথে সাথে আধুনিক বিজ্ঞানীগন এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে কি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়েছেন এবং আমরা বর্তমানের মহাবিশ্বের যে অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত সেটি কিভাবে আবিষ্কৃত হল এই সম্পর্কে বইয়ের এই অংশে বর্ননা করা হয়েছে।
  • স্থান ও কাল (Space and Time)
    আমাদের কাছে এই মহাবিশ্বের একটি গুরুত্বপুর্ন ও বিস্ময়কর মাত্রা হচ্ছে সময়। কিভাবে স্থান ও কালের মাত্রা একত্রে জড়িয়ে আছে, কিভাবে স্থান-কাল এই দুটির সাহায্যে কোন ঘটনার অবস্থান ব্যাক্ষা করা যায়, কিভাবে স্থান ও কাল পরষ্পরকে প্রভাবিত করে এই বিষয়ের উপরে বইয়ের এই অংশ টি।
  • প্রসারমান মহাবিশ্ব (The Expanding Universe)
    বিগব্যাং থেকে এই মহাবিশ্বের শুরু। তারপর থেকেই এই মহাবিশ্ব সদা প্রসারিতি হয়ে এসেছে এবং এখনো হচ্ছে। কি কি সমস্যা অতিক্রম করে বিভিন্ন পরীক্ষালদ্ব ফলাফলের দ্বারা এই ব্যাপার টি প্রমানিত করা হয়েছে তা এখানে বলা হয়েছে।
  • অনিশ্চয়তাবাদ (The Uncertainty Principle)
    অনিশ্চয়তাবাদ কনাবাদী বলবিদ্যার (Quantum mechanics) একটি অবিচ্ছেদ্দ অংশ। নিউটনের গতিবিদ্যা ও বলবিদ্যা শুধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ও বৃহৎ বস্তুর ক্ষেত্রে কার্যকরী। যখন আমরা ইলেকট্রন, প্রোটন, ও ফোটনের মত অতি ক্ষুদ্ ও আলোর গতির কাছাকাছি বস্তুর ক্ষেত্রে কাজ করতে যাব তখন নিউটনীয় বলবিদ্যা ধ্বসে পরে। সেখানে দরকার আইনস্টাইনের ব্যাপক আপেক্ষবাদ (Theory of relativity) তত্ত্বের প্রয়োগ। আর এই সকল ক্ষুদ্র কনার বিজ্ঞানের জগৎ হচ্ছে কনাবাদী বলবিদ্যার (Quantum mechanics). এই অতি ক্ষুদ্র কনার জগতে আছে বিশাল এক সমস্যা। যেটিকে বলা হচ্ছে অনিশ্চয়তাবাদ। এই তত্ত্ব অনুযায়ী অতি ক্ষুদ্র কনাদের অবস্থান ও গতি কখনোই একসাথে সঠিক ও নির্ভুল ভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। যদি গতি খুব বেশী সুক্ষতায় নির্নয় করা হয় তবে তাদের অবস্থানের ক্ষেত্রে আসবে একটা বৃহৎ পরিসর। আর জতি অবস্থান নির্নয় করা হয় তবে অবস্থানের সুক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকবে গতির নির্ভুলতা।
    কেন দুটি পরিমাপ নির্ভুল ভাবে নিরুপন করা সম্ভব নয় আর কিভাবেই বা তৈরী হচ্ছে এই অনিশ্চয়তা তা এই অধ্যায়ের আলোচ্য অংশ।
  • মৌলকনা ও প্রাকৃতিক বল (Elementary Particles and the Forces of Nature)
    আমরা সাধারন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যা জানি তা হল ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন হল সর্বশেষ মৌল কনা। হ্যা এটা সত্য। তবে এই আবিষ্কারের পর অনেক বছর পেরিয়েছে, অনেক নতুন তথ্য যোগ হয়েছে মৌলকনার বিজ্ঞানে। এখন আর মৌলকনা এই তিনটিই নয়। এগুলোও আরও ক্ষুদ্র অংশ ও কনা দিয়ে গঠিত। এখন মৌলকনার লিস্টে আছে অনেকগুলো কনা। এমনকি এমন ক্ষুদ্র সব কনা আবিষ্কৃত হয়েছে যার মাত্রা (Dimension) (দৈর্ঘ / প্রস্থ / উচ্চতা) এগুলো আমাদের দৃশ্যমান আলোর সবচেয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘের আলোর (বেগুনী) তরঙ্গদৈর্ঘের চেয়েও কম। অর্থাৎ ডারউইনের বিবর্তনবাদের ধারায় যদি কোন দিন মানুষের চোখ আরো শক্তিশালী ও সংবেদনশীল না হয় তবে আমরা এসব কনাকে কখনোই চোখে দেখতে পাব না।
    চারটি মুল প্রাকৃতিক বল এই মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করছে। এই বলগুলোর কারন ও এই ধরনের অতি ক্ষুদ্র কনা। এই প্রাকৃতিক বলগুলোর কোনটির জন্য কি কনা দায়ী, তাদের স্বরুপ ও বৈশিষ্ট গুলোর নিয়েই এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
  • কৃষ্ণগহ্বর (Black Holes)
    এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে অধরা অংশটি হল কৃষ্ণগহ্বর। আইনস্টাইনের তত্ব অনুযায়ী যদি আলোর চেয়ে বেশী গতি সম্পন্ন কোন কনা বা তরঙ্গ না থাকে তবে কৃষ্ণগহ্বর কে আমরা কখনোই দেখতে পাব না। না দেখা গেলেও বিভিন্ন পরোক্ষ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা বের করেছেন কিভাবে একটি বৃহৎ আকারের তারকা বা নক্ষত্র জীবনের অন্তিম মুহুর্তে জ্বালানী সংকটে পরে কৃষ্ণগহ্বর এর সৃষ্টি হয়। এই কৃষ্ণগহ্বর ই একমাত্র স্থান যেখানে পদার্থবিদ্যার সকল সূত্র ভেঙ্গে পড়ে, যাকে বলা হয় অনন্যতা বা সিঙ্গুলারিটি (singularity). এর ভেতর থেকে কোন তথ্যই বেড়িয়ে আসতে না পাড়লেও মানব মস্তিস্ক ও বিজ্ঞান কিভাবে এর অস্তিত্ব টের পেয়েছে এবং এর সম্পর্কে এত তথ্য দিচ্ছে তার বিস্তারিত আছে এই অধ্যায়ে।
  • কৃষ্ণগহ্বর অত কালো নয় (Black Holes Ain't So Black)
    এই কথাটি প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষ্ণগহ্বর যত অধরাই হোক না কেন মানব মস্তিস্ক তার কিছু তথ্য ঠিকই বের করে আনতে পেরেছে। আলোক রশ্মি যেটি কৃষ্ণগহ্বরের আকর্ষন বলের সীমানার ভেতরে চলে যায় সেটি বেড়িয়ে আসতে না পারলেও যেটি ভেতরে না গিয়ে তার কিনারা ঘেষে বেড়িয়ে যায় তার আচরন কেমন? কৃষ্ণগহ্বর এর ভেতরে যে এত বস্তু ও শক্তি প্রবেশ করছে সেগুলো কি হচ্ছে? সেগুলো কি ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে নাকি কৃষ্ণগহ্বরের শক্তি বৃদ্ধি করছে? এসব প্রশ্ন এবং বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত এর উত্তর গুলো এখানে আছে।
  • মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিনতি (The Origin and Fate of the Universe)
    এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অধ্যায় এটি। এখানেই বিস্তারিত ব্যাক্ষা করা হয়েছে সেই সৃষ্টির আদি মুহুর্ত অর্থাৎ “বৃহৎ বিস্ফোরন” বা “Big Bang” তত্ত্বটি। কিভাবে অসীম ভর ও তাপমাত্রা সম্পন্ন একটি “প্রায় শুন্য” আয়তন থেকে ( V → 0 ) আজকের এই মহাবিশ্বে আমরা আছি, আর কিভাবে এই মহাবিশ্বের সমাপ্তি ঘটবে। মহাবিশ্বের সমাপ্তি কিভাবে ঘটবে তা নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবনা আছে যা নির্ভর করছে মহাবিশ্বের আমাদের না জানা কিছু সাংখিক মানের উপর। এসব মানের উপরই নির্ভর করছে একসময় “মহা সংকোচন” এর মাধ্যমে সব কিছু ধংস্ব হবে নাকি অসীম কাল পর্যন্ত এই মহাবিশ্ব আয়তনে বেড়েই চলবে।
  • সময়ের তীর, ওয়ার্ম হোল এবং সময় পরিভ্রমন (The Arrow of Time, Wormholes and Time Travel)
    আধুনিক পদার্থবিদ্যায় সময়কে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতার মত আরেকটি মাত্রা (Dimension) হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু পার্থক্য এই যে আমরা সময়ের মাত্রায় পরিভ্রমন করতে পারি না। মুলত সময়ের মাত্রা টা কিরুপ? আসলেই কি সময় একমুখী? সময়ের অভিমুখে যাত্রা কি অসম্ভব নাকি পর্যাপ্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর আমরাও সময়ের অভিমুখে যাত্রা করতে পারব? খুব সহজে আমরা যেই সময়কে দেখছি ও ব্যবহার করছি, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোনে এটির জটিলতা ও এই জটিলতার সমাধান কি হতে পারে তাই এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়।
  • পদার্থবিদ্যাকে ঐক্যবদ্ধ করা (The Unification of Physics)
    এই মহাবিশ্বের সম্পর্কে একবারেই একটি সয়ংসম্পুর্ন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা বেশ দুরহ ছিল। তাই পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন অংশকে ভাগ করে নিয়ে এক একটি চুড়ান্ত তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে তাদের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি একক তত্ত্বের আবিষ্কার এখন পদার্থবিজ্ঞানের মুল লক্ষ্য। পদার্থ বিজ্ঞানের উৎকর্ষের সাথে সাথে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন ভাগে পদার্থ বিজ্ঞান এই মহাবিশ্বের গতি প্রকৃতি ও তার আচরন নির্ধারনকারী তত্ত্ব-সুত্র সমূহ আবিষ্কার করছে। নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব ও সাধারন গতিবিদ্যা (Gravity & General Mechanics) , এর পর এসেছে আইনস্টাইনের আলোর গতির ধ্রুবকত্ত্ব ও চরম গতিতে অর্থাৎ আলোর গতির কাছাকাছিতে ( V → c ) বিশ্ববিখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্ব (General & Special Theory of relativity). এর পর তুলনামুলক ভাবে নতুন তত্ত্ব কনাবাদী বলবিদ্যা (Quantum Mechanics). যাতে অতি ক্ষুদ্র কনা যা পদার্থ ও শক্তির জন্য দায়ী তাদের আচরন ও বৈশিষ্ট ব্যাক্ষা করা হচ্ছে। এই তত্ত্ব গুলোকে একত্রিত করে মহাবিশ্বের রুপরেখা প্রদান কারী একটি তত্ত্ব আবিষ্কার এখন পদার্থবিজ্ঞানীদের অন্যতম মুল লক্ষ্য।
    মহাবিশ্বের মুল চারটি বল মহাকর্ষীয় বল (Gravitational Force), দূর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force), সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force) এবং তাড়িত চৌম্বক বল (Electro-Magnetic Force) এই চারটি বল এই মহাবিশ্বের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক। এই বল গুলোর কারনেই পদার্থ, শক্তি, পদার্থ থেকে শক্তি এই গ্রহ নক্ষত্র সব কিছু। এই বল গুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছে তবে এদের একেকটি এক এক ক্ষেত্রে কার্যকরী গানিতিক সমীকরনের সাহায্যে প্রকাশ করা হচ্ছে। এই চারটি বলের প্রকৃতি যখন একসাথে একটি তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাক্ষা করা যাবে তখন সেই তত্ত্বটি কে বলা হবে “মহান ঐক্যবদ্ধ তত্ত্ব” বা “Grand Unified Theory” (GUT). এই তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যাবে মহাবিশ্বের সকল অংশের কার্যকারীতা।
    কিন্তু এখানেও দেখা দেবে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিখ্যাত “অনিশ্চয়তার সুত্র” যাতে আমরা যে প্রতিটি জিনিস ই নির্ভুল ভাবে বুঝতে পারছি তার একটি অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। এই সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, তথ্য ও সুত্র কে একীভুত করে এমন একটি বৈজ্ঞানিক ফলাফল দাড় করানোই পদার্থবিজ্ঞানীদের লক্ষ্য যার সাহায্যে আমরা আমাদের অবস্থান, অস্তিত্ব ও পারিপার্শিক ঘটনাবলী সম্পুর্নরুপে বুঝতে পারব।
সবাইকে ধন্যবাদ।

★★বাড়িয়ে নিন আপনার Internal মেমোরি★★

কেমন আছেন সবাই,আশা করি ভালো আছেন।অনেকেই হয়ত জানেন যারা জানেন না তাদের জন্য।অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ইন্টারনাল মেমোরি খুব কম থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশনই ডিফল্ট অবস্থায় ইন্টারনাল মেমোরিতেই ইন্সটল হয় যার ফলে একসময় দেখা যায় যে মেমোরি Full এবং ফোন স্লো হয়ে গেছে। যদিও অনেক এপ এসডি তে ইন্সটাল' করা যায়, কিন্ত স করা যায়না বা করা গেলেও অনেক কিছু সেই ইন্টারনাল মেমরিতেই থেকে যায়।
এই সমস্যার সমাধানেই আজকের এই পোষ্ট।
================
>>★যা যা দরকার★<<
================
►► Rooted Android Device
►► PC/Laptop
►► Card Reader
►► Link2SD
======================
>>★কাজের প্রাথমিক ধাপ★<<
======================
●► প্রথমে নিচের লিংক থেকে MiniTools সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিনঃ--↓এখানে

or,  http://www.download.cnet.com/Partition -Wizard-Home-Edition/3000-2094_4-10962200.html                                               ●► এরপর MiniTools আপনার পিসিতে ইনস্টল করে নিন।                                                                                                                                                 ●► তারপর Card Reader এ আপনার মেমোরি কার্ডটি লাগিয়ে পিসির সাথে কানেক্ট করুন।
●► এবার MiniTools চালু করে আপনার মেমোরি কার্ড সিলেক্ট করে রাখুন।
●► তারপর মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করে Delete সিলেক্ট করুন।
[[নোটঃ--> এটা করলে আপনার মেমোরি কার্ডের সকল ডাটা বা তথ্য মুছে যাবে। তাই এই কাজটি করার আগে মেমোরি কার্ডের ব্যাকাপ রেখে নিন।]]
●► তারপর Move/Resize Partition এ ক্লিক করুন।
●► নতুন একটি উইন্ডো আসবে সেখানে Size & Location বারটা ডানে- বামে সরিয়ে পারটিশনের জায়গা কতটুকু রাখবেন সেটা ঠিক করুন। কতটুকু জায়গা পারটিশনের জন্য ব্যবহ্রত হবে সেটা দেখতে পাবেন। Unallocated Space After এ যেটুকু 2nd পার্টিশন জায়গা চান তা ঠিক করে দিন। তারপর Ok চাপুন।
[[নোটঃ--> (১) Unallocated Space before: এটা সবসময় শূন্য(০) রাখবেন। (২) Unallocated Space After এ 512MB দিলেই হয়। এর বেশি প্রয়োজন হয় না।]]
●► এবার Create Partition এ ক্লিক করুন। তাহলে একটি নতুন একটি উইন্ডো আসবে।
●► এবার Partition Label এ আপনার ইচ্ছে মত একটি নাম দিন।
●► Create As এ Primary সিলেক্ট করুন।
●► File System এ EXT2 দিন এবং OK তে ক্লিক করুন।
●► এবার MiniTools এর উপরের দিকে Apply তে ক্লিক করুন।
●► তাহলে Apply Pending Changes একটি উইন্ডো আসবে, OK তে ক্লিক করে একটু অপেক্ষা করুন।
●► কিছু সময় পর Successful নামে উইন্ডো এলে OK তে ক্লিক করুন। ব্যস কাজ শেষ।
====================
>>★প্রধান কাজের ধাপ★<<
====================
==============================
★★Link2SD সিটিং করবেন যেভাবে★★
==============================
●► প্রথমে নিচের লিংক থেকে Link2SD অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে, ইন্সটল করে, ওপেন করুন।
ডাওনলোড লিংক or,,http://www.sendspace.com/file/x88wq4
●► তাহলে SuperUser request আসবে; Allow তে ক্লিক করুন ।
●► এবার File System সিলেক্ট করতে বলবে। File System এ ext2 দিন।
[[নোটঃ--> MiniTools এ যা দিয়েছেন, File System এ তাই সিলেক্ট করতে হবে]]
●► এবার OK তে ক্লিক করুন। তাহলে রিস্টার্ট করতে বলবে। ফোন রিস্টার্ট করুন।
●► রিস্টার্ট করার পর আবার Link2SD ওপেন করুন। একটা ডায়লগ আসবে, OK তে ক্লিক করুন।
●► এবার উপরের মেনুতে (Y এর মতো দেখতে) ক্লিক করে on internal সিলেক্ট করুন।
●► এরপর মেনু থেকে Multi-Select ক্লিক করে Select All করুন।
●► তারপর Actions ক্লিক করে Create link সিলেক্ট করুন।
●► Create link এ ক্লিক করলে, তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। তিনটি অপশনই টিক চিহ্ন দিয়ে OK তে ক্লিক করুন। তাহলে Create হবে, Create শেষ হলে OK তে ক্লিক করুন।
●► এবার মেনু থেকে Setting এ গিয়ে Auto link ক্লিক করুন এবং টিক চিহ্ন দিন।
●► এরপর নিচ থেকে Auto Link Setting ক্লিক করুন। তাহলে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন, তিনটি অপশনেই টিক চিহ্ন দিন।
●► এবার বেরিয়ে যান। ব্যাস, আপনার আর কখনও ইন্টারনাল মেমরি নিয়ে ভাবতে হবেনা। মেমরি স্ট্যাটাস দেখতে link2sd এর মেনু থেকে storage info তে ক্লিক করুন।
================

“THE BLACK-WEB”: মায়াজালেঘেরা ইন্টারনেটের রহস্যময় অন্ধকারজগত

বিশেষ নোট:এই টিউনে বিবৃত তথ্য ব্যবহার করে আপনি যদি কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে তার দায়ভার শুধুই আপনার। আমি নিজেকে একজন Techno-Libertarian মনে করি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে অনলাইনের প্রতিটি তথ্য জানার নিরুঙ্কুশ স্বাধীনতা প্রতিটি ইউজারের রয়েছে। তাই এই টিউন শেয়ার করছি। যেটা করবেন নিজ দায়িত্বে করবেন। আমি বা টেকটিউনস আপনার কোন প্রকার ক্ষতির জন্য দায়ী থাকব না।
হলিউডি ছবির ওই দৃশ্যের কথা মনে আছে যেখানে গডফাদার তার পোষা খুনীর সাথে কখনো মখোমুখি সাক্ষাত না করে এক অতি গোপন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে হুকুম দিয়ে যান, অথবা কি মনে পড়ে আঞ্জেলিনা জুলি অভিনীত ‘Hacker’ ছবিটির কথা যেখানে অপরাধীরা এক নাম না জানা নেটওয়ার্কের ভেতর নানা অপরাধ করত---যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাক গলাতে পারত না?
আপাতদৃষ্টিতে রূপালী পর্দার এসব সাইফাই মুভিগুলোকে শুধুই কেচ্ছা মনে হলেও এইসব মুভির অজানা নেটওয়ার্কের মতই আমাদের অতিচেনা ইন্টারনেটের আছে এক অন্ধকারজগত...
তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে প্রসার পেয়েছে ইন্টারনেট, আর তা আজ মহাসমুদ্রের ন্যায় বিশাল এক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা বেড়েছে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর। বিশেষ করে Google এর নাম বলতেই হবে, যা এখন বিশ্বব্যাপী অন্যতম এক বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণিত হয়েছে। একটি নেট সেশনের কথা কি আমরা চিন্তা করতে পারি গুগলকে ছাড়া? অসম্ভব!

কিন্তু এই Google এর সক্ষমতা কতটুকু?

জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি যখন কোন বিষয়ে সার্চ দেন আর গুগল তার লক্ষ লক্ষ ফলাফল আপনার সামনে হাজির করে তা ইন্টারনেটে থাকা মোট তথ্যের মাত্র ১০ শতাংশ থেকে প্রাপ্ত! অর্থাৎ গুগল অনলাইনের মোট তথ্যের ৯০ শতাংশ জানে না! এলেমে থাকা মাত্র ১০ শতাংশের মধ্যেই সার্চ দিয়েই সে তার ফলাফলকে গ্রাহকের সামনে হাজির করে। বাকি ৯০ শতাংশ চিরকালই আপনার অজানা থেকে যাবে।
এক জরিপে জানা গেছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই দৃশ্যমান নেট হল মহাসাগরে ভেসে থাকা এক খন্ড হিমবাহ আর ডীপ ওয়েব হল মহাসাগর খোদ নিজে!

এই অজানা ব্ল্যাক ওয়েবেই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়

ব্ল্যাক ওয়েবেকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, আর তা হলঃ
  • 1. The Deep Web
  • 2. The Dark Web
ডীপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই সমস্ত অংশ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পায় না কিন্তু আপনি যদি এগুলোর ঠিকানা জানেন তাহলে আপনি এই অংশে যেতে পারবেন।
আর ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই অংশ যেখানে কনভেনশনাল উপায়ে আপনি ঢুকতে পারবেন না, প্রচলিত ব্রাউজারগুলো সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে বিশেষ সফটওয়্যার এর সহায়তা নিতে হবে।
ইন্টারনেটের এই অংশের উৎপত্তি কিভাবে হল? একদম সঠিক করে বলা অসম্ভব।
প্রকৃতপক্ষে আপনি বা আমি কেউই ইন্টারনেটে একা নই! আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি ডাউনলোড নজরে রাখছে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার। তাদের কাছে আপনার পুরো লগ থাকে আর যেকোন প্রয়োজনে তারা তা সরবরাহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তার মানে হল আপনার চলাচলের কোন স্বাধীনতা নেই!!!
নানা সময়ে বিশ্ব ইন্টারনেটের নানা গ্রুপ এমন একটি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে যেখানে তারা খুব গোপনে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। সামরিকবাহিনী, বিপ্লবী, হ্যাকার, এমনকিই খোদ প্রশাসনই এমন এক ব্যবস্থা চেয়েছে যেখানে গোয়েন্দারা খুব গোপনে নিজেদের ভেতর তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে অথবা চুরি যাওয়া তথ্য ফিরে পেতে দর কষাকষি করতে পারবেন অপরাধীদের সাথে। তাছাড়া বিশ্বের অনেকদেশ আছে যেখানকার অনলাইন সেন্সরশিপ খুবই কড়া, ফলাফলস্বরুপ ভিন্নমতালম্বিদের এমন এক ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে হয়েছে যেখানে সরকার তদারকি করতে পারবে না। আর এভাবেই উৎপত্তি হয়েছে এই অজানা অংশের। সাথে সাথে এটা প্রলুব্ধ করেছে ওই সমস্ত অপরাধীদের যারা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মূল নেটে আলোচনা করতে সাহস পায় না।

এখন প্রশ্ন হল ডীপ ওয়েবে কেন সার্চ ইঞ্জিন সার্চ করতে পারে না?

এর কারণ হল সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সার্চ তদারকি করে এক ধরনের ভার্চুয়াল রোবট তথা Crawler দিয়ে। এই Crawler গুলো ওয়েবসাইটের HTML tag দেখে ওয়েবসাইটগুলোকে লিপিবদ্ধ করে।তাছাড়া কিছু কিছু সাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিনে লিপিবদ্ধ হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট যায়। এখন যে সমস্ত সাইট এডমিন চান না যে তাদের সাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে না পাক, তারা Robot Exclusion Protocol ব্যবহার করেন যা Crawler গুলোকে সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া বা লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত রাখে। কিছু সাইট আছে ডাইনামিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই ধরণের সাইটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব, আর Crawler এর পক্ষে এই সব করা সম্ভব হয় না। কিছু সাইট আছে যেগুলোতে অন্য সাইট থেকে লিংক নেই। এগুলো বিচ্ছিন্ন সাইট, এগুলোও সার্চে আসে না। তাছাড়া বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলজি এখনো তার আঁতুড় ঘর ছাড়তে পারে নি। সার্চ ইঞ্জিনগুলো Text বাদে অন্য ফরম্যাটে থাকা(যেমন ফ্ল্যাশ ফরম্যাট) ওয়েবপ্যাজ খুঁজে পায় না!
এই ডীপ ওয়েবে থাকা তথ্যগুলো সারফেস ওয়েবের তথ্য থেকে মানে গুনে এগিয়ে। এগুলো খুবই সুসজ্জিত এবং প্রাসঙ্গিক। তাহলে বুঝুন সার্চ ইঞ্জিনগুলো কি করছে!!!

এবার আসি সবচেয়ে মজার অংশে তথা ডার্ক ওয়েবে...

আপনার প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢুকতে পারবেন না। এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে, গ্রাহ্য করে না কোন নিয়মকানুন। আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট (যেমন sdjsdhsjhsuyumnsdxkxcoioiydsu67686hsjdhjd.onion) যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা ভীষণ কঠিন। এই অংশটিই ইন্টারনেটের প্রকৃত অদৃশ্য অংশ। বিশেষ কিছু জ্ঞান( যেমন প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি) না থাকলে আপনি এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন (যেমন .com) ব্যবহার না করে “Pseudo Top Level Domain” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে Bitnet, Onion, Freenet প্রভৃতি।
এই দুনিয়াটি সবচেয়ে আলাদা! আপনই জীবনে যা কখনো কল্পনা করেন নি তাই পাবেন এখানে। হয়তো কখনো কল্পনা করেন নি যে সাইটে পাসওর্য়াড বাদে ঢুকা সম্ভব, দেখবেন তাই এখানে অহরহ হচ্ছে। এমন বিষয় পাবেন যা আপনার মাথাও গুলিয়ে দিতে পারে। উইকিলিকস ঘোষণা করেছে যে এ বছর তারা আরো নতুন ডেটা প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনিই হয়তো বিস্ময়ভরে দেখতে পারবেন উইকিলিকস এর এই সমস্ত ডেটা এই ডার্ক ওয়েবে আছে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই। যেকোন বইয়ের একদম লেটেস্ট এডিশন যা কিনা সারফেস ওয়েবে কপিরাইট ল’এর কারণে নেই তা দেখবেন এখানে দেদারসে আদান প্রদান হচ্ছে।
আরো আছে বিকৃতরুচির বিনোদোন! শিশু পর্ণোগ্রাফি থেকে শুরু করে নানা ধরনের Genital Mutilation এর ভিডিও যা কিনা সারফেস ওয়েবে নেই, তা এখানকার হট টপিকস।
এমন কিছু সাইট আছে যেখানে মার্জুয়ানা, হিরোইন থেকে শুরু করে সব ধরণের মাদক হোম ডেলিভারী দেয়া হয়। ডার্কনেটের মূল ব্যবহারকারী মূলত মাদকাসক্তরাই।
আবার কিছু সাইট আছে যেখানে কট্টরপন্থী গ্রুপগুলো শিক্ষা দিচ্ছে কিভাবে গোলা বারুদ বানাতে হয়, কিছু সাইটেতো রেডিমেড অস্ত্রই বিক্রি হয়। একে ৪৭ থেকে শুরু করে রকেট লাঞ্চার, মর্টারের মত অস্ত্রও কিনতে পাওয়া যায়।
আরব-বসন্তের সময় বিপ্লবকারীরা এই ডার্কওয়েবে যোগাযওগ করত। ডার্কওয়েবে নানা ধরণের মেইল সার্ভিস, চ্যাট সার্ভিস আছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন।
বিস্ময় আরো আছে! বেশ কিছু দিন আগে আমি এমন এক আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটে ঢুকি যেখানে টাকার বিনিমিয়ে কিলার ভাড়া পাওয়া যায়!!! কি ভয়ংকর, বিশ্বাস হচ্ছে না? আমারও তখন হয় নি। এমনই এক সাইটে ঢুকে দেখি কিলার তার নিজের সর্ম্পকে এভাবে বর্ণনা দিচ্ছেঃ
“ আমাকে তুমি স্ল্যাট নামে ডাকতে পার। আমি তোমার শত্রুকে প্রফেশনাল ওয়েতে শেষ করে দিতে পারব। আমি তার সাথে তোমার সমস্যা জানতে আগ্রহী নই। তুমি শুধু আমাকে টাকা দিবে আর আমি তাকে শেষ করে দিব। টার্গেটের বয়স কমপক্ষে ১৮ হতে হবে,
টার্গেট পুরুষ না মেয়ে তাতে আমার কিছু আসে যায় না
আমি গর্ভবতী মহিলাকে টার্গেট হিসেবে নেই না
আমি টার্গেটকে অত্যাচার করি না
টার্গেট যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হন তাহলে বাড়তি চার্জ লাগবে
আর বাড়তি চার্জের বিনিময়ে আমি পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনার মত করে সাজাতে পারব
ডাউনপেমেন্টের চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টার্গেটের জন্য বাড়তি ৫০০০ ডলার ট্রাভেল চার্জ লাগবে
কাজ হয়ে গেল আমি তোমাকে টার্গেটের ছবি তুলে পাঠাব”
মোটকথা আপনি এমনই এক ব্ল্যাক ফরেস্টে প্রবেশ করবেন যেখানে আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার আগে দুবার ভেবে নিতে হবে। সারফেস ওয়েবে যেসব হ্যাকিং টেকনিক দেখতে পান তা হল এই ডার্ক ওয়েব থেকে লীক হওয়া ১% তথ্যের অংশ বিশেষ। এখানকার হ্যাকাররা খুবই ভয়ংকর এবং প্রোগামিং এ তাদের কোন জুড়ি নেই, সাবধান আপনার মেইলই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া সরকারের এজেন্টগুলোতো আছেই।

কিন্তু প্রশ্ন হল এই সব নেটওর্য়াক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নাকে ডকা দিয়ে কিভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে???

এটা বুঝতে হলে আমাদের এইরকম একটি নেটওর্য়াক নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে...
ডার্কওয়েবে ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়নের Pseudo-top-level-domain হল .onion। আর এর সাইটগুলোর ঠিকানা ভূতুড়ে! মূলত মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। অনিয়নে আপনার ব্রাউজার দিয়ে ঢুকতে পারবেন না, এজন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে Tor ব্রাউজার।
টর আপনার পরিচয়কে লুকিয়ে ফেলবে আর এর ফলে কারো পক্ষে আপনার অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। আপনি যখন টর দিয়ে কোন সাইটে ঢুকতে যাবেন তখন টর আপনার এই রিকোয়েস্ট কঠিন এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সিতে আপনার পাঠানো ডেটা আর ডেটা থাকে না, সেটা দুর্বোধ্য এক স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়।
এবার অনিয়ন প্রক্সি এই ডেটা নিয়ে মূল ইন্টারনেটমূখো হবে যেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া সদস্যদের অনিয়ন রাঊটারগুলো অপেক্ষা করছে। অনিয়ন রাউটারে প্রবেশের আগে অনিয়ন নেটর্য়াকের প্রবেশপথে এই ডেটা আবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়। নেটওর্য়াক থেকে বের হওয়ার সময় আরো একবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়। পথিমধ্যে অনিয়নের বেশ কিছু রাউটারের ভেতর দিয়ে এনক্রিপশন হয় যেখানে এক এক রাউটারে এনক্রিপশন আউটপুট এক এক রকম এবং কোন রাউটারই জানে না যে ডেটা কোন রাউটার থেকে আসছে। সবশেষে ডেটা যখন প্রাপকের হাতে গিয়ে পৌছায় তা তখন ডিএনক্রিপশন প্রসেসের মাধ্যমে আদি অবস্থানে ফিরে আসে। এই রকম অনেকগুলো লেয়ার বা খোসা থাকার কারণেই এই নেটওর্য়াকের নাম অনিয়ন নেটওর্য়াক।
এখন এই ডেটা চালাচালির সময় কেউ যদি এই ডেটা চুরি করতে সক্ষমও হয় তার পক্ষে এটা বের করা সম্ভব হবে না যে এটার প্রেরক কে বা প্রাপকই বা কে! কেননা অনিয়ন রাউটারগুলো নিজেরাই এটা জানে না। তবে হ্যা, কেউ যদি দুই প্রান্তেই নজরদারী করতে পারে তাহলে সে বুঝতে পারবে Sender-Receiver এর লোকেশন কোথায়।
এই ধরণের দুর্বোধ্য সিস্টেমের কারণেই এই সমস্ত নেটওর্য়াক সব সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। অনিয়ন নেটওর্য়াকে থাকা ব্ল্যাক মার্কেটগুলোর ভেতর সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Silkroad, ফোর্বসের হিসেবে এখানে গত বছর ২২ মিলিয়ন ডলারের বেচা-কেনা হয়েছিল। আর এখানে প্রচলিত মুদ্রায় বেচাকেনা হয় না, বেচাকেনা হয় Bitcoin নামক একধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রাতে। মাইক্রোসফট, অ্যাপেলের প্রোডাক্ট এখানে ৮০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্টে পাওয়া যায়।
এতসব অনিয়মের ভেতরেও এই ধরণের ব্যবস্থাকে সমর্থন করি, কেন? একটি উন্মুক্ত প্লাটফোর্ম থাকা আসলেই প্রয়োজন। যে শিশু পর্ণোগ্রাফি তৈরি করে সে এই নেটওর্য়াক বন্ধ করলে আরেকভাবে তার কাজ করবে। আর তাছাড়া চিরকালই সাইবার সন্ত্রাসীরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি Internet Protocol ^ 6 বের হলেও সারফেস ওয়েবে এখনো পড়ে আছে সেই মান্ধতার আমলের Internet Protocol ^ 4 এ। অথচ আন্ডারগ্রাউন্ডের মোটামুটি সব সাইটই IP^6 ব্যবহার করছে।
যেহেতু ইন্টারনেটেরও মানুষের বাকি সব সৃষ্টির মত খারাপদিক আছে তাই এটার সাথেই মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। আর অবশ্যি বলব যে জীবনে একবার হলেও ডার্ক ওয়েবে ঘুরে আসুন, তা না হলে বরফখন্ডে আশ্রিত শীলের মত মহাসাগরের স্বাদ মিস করবেন।
তবে হ্যা, বেশী দূর যাবেন না। মনে রাখবনে, সরকারের অঢেল টাকা আছে, তাই তারা চাইলেই ডার্ক ওয়েবের মেধাবী হাজারো হ্যাকারকে ভাড়া করতে পারবে আপনারমত লোকদের ডার্ক ওয়েবে চোখে চোখে রাখতে।

কিছু টিপসঃ

  • #অবশ্যই ডার্ক ওয়েবে ঢোকার আগে জাভাস্ক্রিপ্ট, ফ্ল্যাশ, শকওয়েভ বন্ধ করে নিবেন। এগুলো আপনার Anonymity খুব সহজেই ভেস্তে দিতে পারে।
  • # পেইড প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করুন। এগুলো মিলিটারি এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে এবং এদের সার্ভিসও দারূণ।
  • # আপনার ডেস্টিনেশন Website যদি  কোনভাবে হ্যাক হয় তাহলে আপনার পরিচয় বেরিয়ে যাবার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কখনো ডার্ক ওয়েবে কোন কাজে আপনার আসল ডেটা ব্যবহার করবেন না।
মনে রাখবেন, সারফেস ওয়েবের মত ডার্ক ওয়েবেও আপনি একা নন, এখানেও দেয়ালের কান আছে......ডার্ক ওয়েবে আপনাকে স্বাগতম।।

Sunday, March 22, 2015

আপনার এন্ড্রয়েড ফোনকে আইফোন বানিয়ে নিন। উপভোগ করুন iOS7 এর আসল স্বাদ।

আমরা সবাই জানি আইফোন এর কথা। আইফোন একটু ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের মত সাধারনের আর ব্যবহার করা হয় না। পড়ে থাকি গরিবের বন্ধু এন্ড্রয়েড ফোনে। হে, এন্ড্রয়েড গরিবের বন্ধু। এন্ড্রয়েড দিয়েছে সাধ্যের মধ্যে অনেক কিছু। কমবেশী সবাই আমরা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি। তাই আজকে দেখাবো এই এন্ড্রয়েড ফোনকে কিভাবে আইফোন বানাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে দুইটি এপ্স ব্যবহার করতে হবে। এনিয়ে আগে আরও অনেক টিউন হয়েছে, সেগুলো কতটা কার্যকারী অথবা কতটা হুবহুব আইফোনের মত সেটা জানি না। কিন্তু আজকে আমি যেগুলো শেয়ার করছি সেগুলো লেটেষ্ট এবং হুবহুব আইফোনের মত দেখা যাবে।
OS 9 launcher এবং iNoty এই দুইটি এপ্স ব্যবহার করে আপনি যেকোন এন্ড্রয়েড ফোনকে হুবহুব আইফোনের মত বানিয়ে নিতে পারবেন আর উপভোগ করতে পারবেন iOS7 এর আসল স্বাদ। এপ্স গুলো খুব বেশী বড় না। ১.৩ মেগাবাইট এবং ১.৪ মেগাবাইট। তাহলে চলুন কাজ শুরু করা যাক।

OS 9 launcher v35

iOS Launcher এর মধ্যে এই লাঞ্চারটি সবচেয়ে দামী এবং আকর্ষনীয়। গুগল প্লে মার্কেটে এই এপ্সটির মূল্য $7.98 ডলার। সমস্যা নেই। আপনাদের সামনে আমি এই এপ্সটি ফ্রী শেয়ার করছি। এই এপ্সটির সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন এখান থেকে।

ফিচারঃ

  • custom animation just like the real one
  • live in app notification
  • Direct calling from The homescreen
  • Contacts shortcut can be added to the home screen
  • Direct messaging from the home screen
  • folders like the real one with translucent background
  • Transclucent background in folder dock background

স্কীনশর্টঃ

এপ্স সম্পর্কেঃ

নামঃ OS 9 Launcher
ভার্সনঃ 35
সর্বশেষ আপডেটঃ February 25, 2015
ফাইল টাইপঃ APK
ফাইল সাইজঃ 1.3MB

Download

iOS launcher হিসেবে বিকল্প আরেকটি এপ্স ব্যবহার করতে পারেন, সেটি হল iLauncher। এটি ব্যবহার করেও আপনি iOS এর স্বাদ নিতে পারবেন। গুগল প্লেতে এই এপ্সটির বর্তমান মার্কেট মূল্য $2.58 ডলার। এই এপ্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।

স্কীনশর্টঃ

এপ্স সম্পর্কেঃ

নামঃ iLauncher
ভার্সনঃ 3.4
সর্বশেষ আপডেটঃ February 1, 2015
ফাইল টাইপঃ APK
ফাইল সাইজঃ 2.6MB

Download

iNoty

এই এপ্সটি মূলত নটিফিক্যাশন বারের জন্য। এই এপ্সটি iOS এর মত Notification bar অথবা iOS এর মত Status bar দেখাবে। আর এই এপ্সটি চলবে মূলত উপরের iLauncher এর সাথে। iNoty এপ্সটির গুগল প্লে এর মার্কেট মূল্য $1.43 ডলার। আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে

স্কীনশর্টঃ

এপ্স সম্পর্কেঃ

নামঃ iNoty
ভার্সনঃ 1.23
সর্বশেষ আপডেটঃ February 24, 2015
ফাইল টাইপঃ APK
ফাইল সাইজঃ 1.4MB

Download

যে কোন গানে নিজের ছবি, সাইটের টাইটেলসহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করুন মাত্র 2.5 Mb Software দিয়ে

যে কোন গানে নিজের ছবি, সাইটের টাইটেলসহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করুন মাত্র 2.5 Mb Software দিয়ে

শেয়ার করার মাঝে কিন্তু একটা মজা আছে। চলুন টিউনটি শুরু করি যে, কীভাবে যে কোন গানে নিজের ছবি, সাইটের টাইটেলসহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করা যায়। একটা সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারবেন খুব সহজে। নিচে থেকে এ্যাপটি নামান।
Software name: mp3tag
File Size: 2.5 MB
Donload Click Here

নামানো শেষে ইনষ্টল করে ব্যবহার করুন্ আপনার একটু কম্পিউটার ঞ্জান থাকলেই এটি ইউজ করতে পরেবেন। এইজন্য আমি আর বিস্তারিত দেখালাম না। তবে কারো কোন সমস্যা হলে বলবেন সাধ্যমত হের্প করার চেষ্টা করবে। তবে স্ক্রিন সট দিয়ে আপনাদের সর্টকাট কিছু দেখালাম
যে কোন গানে নিজের ছবি, সাইটের টাইটেলসহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করুন মাত্র 2.5 Mb Software দিয়ে
যে কোন গানে নিজের ছবি, সাইটের টাইটেলসহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করুন মাত্র 2.5 Mb Software দিয়ে

যে ১০ টি কারণে কিটক্যাট থেকে আপনার এন্ডয়েড ললিপপে আপডেট করবেন! !

যে ১০ টি কারণে কিটক্যাট থেকে আপনার এন্ডয়েড ললিপপে আপডেট করবেন :
• ১ : নোটিফিকেশন বারে ফ্লাশ লাইট -
এন্ডয়েড ললিপপের নোটিফিকেশন বারে ফ্লাশ লাইট আইকন থাকবে।
অর্থাৎ , কোন থার্ড পার্টি App ইন্সটল করা ছাড়াই আপনি iOS এর মতো নোটিফিকেশন বার থেকে ফ্লাশ লাইট অন করতে পারবেন।
কিন্তু কিটক্যাট - এ এই সুবিধা ছিল না।
• ২ : চার্জ সংক্রান্ত :
এন্ডয়েড ললিপপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে ব্যাটারি চার্জ হতে যে সময় লাগবে তা দেখা যাবে।
তাছাড়া  ব্যাটারি ইনফো থেকে ছোট্ট গ্রাফে ব্যাটারির  রির্পোট দেখা যাবে।
এন্ডয়েড কিটক্যাট - এ এই সুবিধা ছিল না।
• ৩ : একাধিক প্রোফাইল / ব্যবহারকারী -
আমার মনে হয় যে এটা সবারই অনেক প্রয়োজনীয়।
অনেক সময় পরিবারের সদস্য এবং আত্নীয়াকে মোবাইল দিতে হয়।
কিন্তু অনেকেই ব্যাক্তিগত কিছু বিষয় ফোনে রাখেন!
এর মাধ্যমে উইন্ডোজের মতো আলাদা আলাদা ইউজার ফোনটি চালাতে পারবে।
• ৪ :লুকানো  ফ্ল্যাপি বার্ড -
বিশ্বাস করেন আর না করেন ললিপপের ফ্ল্যাপি বার্ড খেলে আপনি বিশাল মজা পাবেন।
Settings > About phone > Android version
কয়েকবার ট্যাপ করেই আপনি গেমটি খেলতে পারবেন! !
• ৫ : নোটিফিকেশন প্যানেল -
এন্ডয়েড ললিপপের নোটিফিকেশন বার সবচেয়ে সহজ ও সুন্দর করে বানানো হয়েছে।
আপনার ফোন লক থাকা অবস্থায়ও আপনি নোটিফিকেশন চেক করতে পারবেন।
এটি বন্ধ করতে -
Settings –
Sound and Notification – When
device is Locked – Don’t show
notifications at all - এ গিয়ে টিক মার্ক (√) দিন।
• ৬ : ট্রাস্টেড প্লেস ফিচার ও স্মার্ট লক -
এর মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফোন আনলক রাখতে পারেন।
যেমন - আপনি আপনার বাসার লোকেশান সেট করে ওখানে ফোন আনলক রাখতে পারেন।
যেভাবে চালু করবেন -
Settings –
Security – Smart Lock
• ৭ : নতুন ডিজাইনের সফট্ কি -
ললিপপের সফট্ কি গুলো অত্যন্ত ছোট এবং আটোসাটো।
যা এটিকে স্টাইলিশ করে তুলেছে!
• ৮ : মাল্টিটাস্কিং -
ললিপপের মাল্টিটাস্কিং এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
কোন app ওপেন করা ছাড়াই এর ডিটেইলস আপনি দেখতে পারবেন।
• ৯ :কোন বিশেষ app - কে  অগ্রাধিকার -
এন্ডয়েডের বিরক্তিকর ব্যাপার হলো অনবরত নোটিফিকেশন! !
এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি কোন বিশেষ app -এর নোটিফিকেশন চালু রাখতে পারেন!
• ১০ : কাস্ট স্ক্রিন -
এটি দিয়ে আপনি মোডেম / টিভি কার্ড দিয়ে "STREAM" করতে পারবেন . . . .
কিটক্যাটে এটা থার্ড পার্টি app দিয়ে করতে হতো . . .

আজ এই পর্যন্তই!

এখন থেকে অংকের সমাধান আপনার মোবাইল দিবে!!(এন্ড্রাইড , উইন্ডোজ এবং আইওএস মোবাইলের জন্য)

পড়া-লেখা বিশেষ করে অংক করা নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমস্যার অন্ত থাকে না।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে অর্থাৎ এবার অঙ্কের সমাধান দিবে মোবাইল।
ছেলে-মেয়েদের অংক করা নিয়ে এখন থেকে আর ভাবতে হবে না।
কেননা এখন থেকে অঙ্কের সমাধান দেবে মোবাইল ফোন!
তারজন্য মোবাইলে বিনা মূল্যে ‘ফটোম্যাথ’ নামক একটি অ্যাপ ব্যবহার করলেই হবে।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, ‘ফটোম্যাথ’ অ্যাপটি মোবাইলে থাকলে, বই-খাতার বা যে কোনো স্থানের লেখা যে অঙ্কটি কষতে হবে, ফোনের ক্যামেরা দিয়ে শুধু সে অংকটির ছবি তুললেই সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কটির বা সমীকরণের সমাধান জানাবে ওই অ্যাপটি।
ইচ্ছে করলে অঙ্কটি কীভাবে সমাধান করা হয়েছে, সেটিও দেখে নেওয়া যাবে।
এই ‘ফটোম্যাথ’ নামক অ্যাপটি অপটিক্যাল ক্যারেক্টার শনাক্ত করে গাণিতিক সমস্যা বুঝতে পারে।
সেই ফাংশানটি সমাধান করে ফলাফল দেখিয়ে দেয়।
বিনামূল্যের এই ‘ফটোম্যাথ’ অ্যাপটি তৈরি করেছে ক্রোয়েশিয়ার অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোব্লিঙ্ক।
গত বছরের শেষের দিকে উইন্ডোজ এবং আইওএস মোবাইলের জন্য বিনামূল্যের এই অ্যাপটি উন্মুক্ত করার পর এখন পর্যন্ত উইন্ডোজ এবং আইওএস ফোনে ১১ মিলিয়ন বার অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানানো হয়।
সবচেয়ে ভালো খবর হলো, সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড চালিত মোবাইলের জন্যও এই অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে এই ‘ফটোম্যাথ’ অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে!
আপনার যদি এন্ড্রাইড মোবাইল হয় তাহলে এখানে গিয়ে ডাউনলোড করে নিন।
আপনার যদি উইন্ডোজ মোবাইল হয় তাহলে এখানে গিয়ে ডাউনলোড করে নিন।
আর আপনার যদি আইওএস মোবাইল হয় তাহলে এখানে গিয়ে ডাউনলোড করে নিন।

এন্ড্রয়েড এ রুট ছাড়া চালান DSLR Camera Pro অ্যাপ

আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম রুট ছাড়া এন্ড্রয়েড উজারদের জন্য DSLR Camera Pro.এই অ্যাপটি আপনি যে কোন এন্ড্রয়েড স্মারটফোনে ব্যবহার করতে পারবেন।এই অ্যাপ এ রয়েছে ১৬ টার ও বেশি DSLR camera features.
major features
• two-state shutter button - press to focus, release to take a shot
• moveable viewfinder - to set focus-area anywhere you want
• live histogram
• exposure compensation
• geotagging
• flash mode - auto, on, off, torch
• light metering mode - matrix, center-weighted, spot
• autofocus mode - single, continuous, face-detection etc.
• white balance
• ISO
• drive mode: single, burst, timer etc.
• scenes - portrait, landscape etc.
• color effects
• grids: rule of thirds, golden ratio etc.
• volume keys as shutter buttons
• front-facing camera support
1
2
এই অ্যাপ দিয়ে আপনি অনেক টাই DSLR ক্যামেরা এর মত real picture তুলতে পারবেন।এই অ্যাপ এর Full Paid latest version টাই দেওয়া হল।5 Megapixel
camera এর উপরে হলে DSLR Camera Pro অ্যাপ টা অনেক ভাল কাজ করে।